ওয়ালটন আইপিএস এর দাম ২০২৪

ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি প্রখ্যাত ও অগ্রণী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। এই কোম্পানি দেশের প্রতিটি ঘরে ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবাইল, হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহ করে আসছে। বিশেষ করে লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধানে ওয়ালটন তাদের আইপিএস পণ্যের মাধ্যমে একটি অত্যন্ত কার্যকরী সমাধান প্রদান করেছে।

ওয়ালটন কোম্পানির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত তারা বাণিজ্যিকভাবে সাধারণ জনগণের জন্য উন্নতমানের পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের চলমান বিদ্যুৎ সমস্যার মোকাবেলায় ওয়ালটনের আইপিএস একটি জনপ্রিয় পছন্দে পরিণত হয়েছে। আপনি যদি লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি আইপিএস কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই পোস্টটি থেকে আপনি বিস্তারিতভাবে ওয়ালটন আইপিএসের দাম এবং বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ওয়ালটন আইপিএসের দাম এবং বৈশিষ্ট্য ২০২৪

ওয়ালটন কোম্পানি বিভিন্ন মডেলের আইপিএস সরবরাহ করে যা তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দামে ভিন্নতা পায়। অন্যান্য ব্র্যান্ডের আইপিএসের তুলনায় ওয়ালটন বেশ সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের আইপিএস সরবরাহ করে থাকে। সাধারণত ভালো মানের আইপিএসের দাম ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, যেখানে অন্য অনেক কোম্পানির একই মানের আইপিএস এর দাম অনেক বেশি হতে পারে।

নিম্নমানের আইপিএসের ক্ষেত্রে, আপনি ১২০০ টাকায় একটি ওয়ালটন আইপিএস পেতে পারেন, যা আপনার ঘরের ছোটখাটো বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। আবার, উন্নত মানের এবং আরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মডেলগুলোর ক্ষেত্রে দাম ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিভিন্ন মডেলের ওয়ালটন আইপিএসের বৈশিষ্ট্য ও দামের তালিকা নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয়েছে।

Walton IPS মডেল এবং দাম তালিকা

ওয়ালটন আইপিএস বিভিন্ন মডেলে আসে, যার প্রতিটি আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের কারণে দামেও ভিন্নতা দেখা যায়। এই মডেলগুলোর মধ্যে কিছু মডেল নিম্নরূপ:

  1. WVP-SG15 – ১,২০০ টাকা।
  2. WVP-JV200 – ১,৫০০ টাকা।
  3. WVS-600 SD – ৩,৩০০ টাকা।
  4. SUPREME-2100JV – ৩,৩৫০ টাকা।
  5. WVS-1000HSD – ৩,৪০০ টাকা।
  6. SUPREME-2100JV80V – ৩,৫৫০ টাকা।
  7. WVS-1000SDR80V – ৩,৯০০ টাকা।
  8. WVS-1000SD – ৪,৭০০ টাকা।

এই আইপিএসগুলো বেশিরভাগই ৫ থেকে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মডেলগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাকআপ সময় আরও বেশি হতে পারে।

ওয়ালটন আইপিএসের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য

ওয়ালটন আইপিএসের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য তাদের বাজারের অন্যান্য আইপিএস থেকে আলাদা করে তুলে ধরে। যেমন:

  • মাইক্রো কন্ট্রোলার ডিজাইন: ওয়ালটনের আইপিএসগুলোতে মাইক্রো কন্ট্রোলার ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নির্ভুল ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
  • অতিরিক্ত ভোল্টেজ সহনশীলতা: এই আইপিএসগুলো অতিরিক্ত ভোল্টেজ বহন করতে সক্ষম, যা সাধারণ ঘরোয়া এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
  • ওভারলোড, ওভার হিট, এবং শর্ট সার্কিট প্রোটেকশন: ওয়ালটন আইপিএসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর ওভারলোড, অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং শর্ট সার্কিট থেকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা। এই বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

কম দামের ওয়ালটন আইপিএস: আপনার বাজেটের সাথে মিলিয়ে

যারা কম দামে আইপিএস কিনতে চান, তাদের জন্য ওয়ালটন বেশ কিছু সাশ্রয়ী মডেলের আইপিএস সরবরাহ করে থাকে। বাংলাদেশের বাজারে লুমিনাস, রহিম আফরোজ, এবং লিনাক্সের মতো ব্র্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে ওয়ালটন তাদের আইপিএসের দামে উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করে। নিম্নে কিছু কম দামের ওয়ালটন আইপিএসের তালিকা দেওয়া হলো:

  1. WVP-SG15 – দাম ১,০৫০ থেকে ১,১০০ টাকা।
  2. WVP-JV200 – দাম ১,৪৫০ থেকে ১,৫৫০ টাকা।
  3. WVS-600 SD – দাম ৩,২০০ থেকে ৩,৩০০ টাকা।
  4. WVS-1000HSD (Mini IPS) – দাম ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ টাকা।
  5. Walton WIP-400SS (SLIM IPS) – দাম ১,২০০ থেকে ১,৩৫০ টাকা।

এই কম দামের আইপিএসগুলো ছোটখাটো ঘরোয়া ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।

কেন ওয়ালটন আইপিএস কেনা উচিত?

ওয়ালটনের আইপিএস কেনার বেশ কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হলো:

  1. বৈচিত্র্যময় মডেল: ওয়ালটন বিভিন্ন মডেল এবং দামে আইপিএস সরবরাহ করে, যাতে আপনি আপনার চাহিদা ও বাজেট অনুযায়ী একটি উপযুক্ত মডেল বেছে নিতে পারেন।
  2. টেকসই ও নির্ভরযোগ্য: ওয়ালটন আইপিএসগুলো টেকসই এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য উপযোগী। এটির উচ্চ মানের উপাদানগুলো দীর্ঘ সময় ধরে কার্যকরী থাকে।
  3. উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা: ওয়ালটনের আইপিএসগুলোতে ওভারলোড, ওভার হিট, এবং শর্ট সার্কিট সুরক্ষার মতো উন্নত বৈশিষ্ট্য আছে, যা আপনার ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  4. বাজেট-সাশ্রয়ী পণ্য: অন্যান্য ব্র্যান্ডের আইপিএসের তুলনায় ওয়ালটন সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের আইপিএস সরবরাহ করে, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ।

বিদ্যুৎ ব্যাকআপে ওয়ালটন: একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকেই বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওয়ালটন আইপিএস হতে পারে একটি কার্যকর সমাধান। ওয়ালটনের আইপিএস ঘরের বা অফিসের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ফ্যান, লাইট ইত্যাদি চালাতে সক্ষম এবং দ্রুত বিদ্যুৎ ফিরে আসার আগ পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারে।

শেষ কথা

ওয়ালটন বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারে একটি অন্যতম সেরা এবং নির্ভরযোগ্য নাম। তাদের আইপিএস পণ্য সাশ্রয়ী দামে উচ্চ মানের এবং টেকসই সমাধান প্রদান করে, যা অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশ সুবিধাজনক। আপনি যদি আপনার বাজেটের মধ্যে সেরা মানের একটি আইপিএস কিনতে চান, তাহলে ওয়ালটন হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।

বাংলাদেশে ওয়ালটন আইপিএসের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং তাদের বিভিন্ন মডেল, বৈশিষ্ট্য এবং দামের বৈচিত্র্যের কারণে তারা সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে একটি আস্থা অর্জন করেছে। তাই, যদি আপনি একটি আইপিএস কিনতে আগ্রহী হন, তাহলে ওয়ালটনের মডেলগুলোর মধ্যে থেকে আপনার জন্য সঠিকটি বেছে নিতে এই পোস্টটি আপনাকে সহায়তা করবে।

সতর্কতা: আইপিএস কেনার আগে অবশ্যই পণ্যের ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। ওয়ালটনের পণ্য কেনার সময়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top