কুয়েতের ভিসা এবং সেখানে কাজের সুযোগ নিয়ে আপনি বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। চলুন, কুয়েতে যেতে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক:
কুয়েতের ভিসার দাম কত
কুয়েতের ভিসার দাম নির্ভর করে কোন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার ওপর। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে তিনটি ধরনের ভিসা নেয়া যায়:
- কাজের ভিসা (ওয়ার্ক পারমিট): কুয়েতে কাজের ভিসার খরচ ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
- ভ্রমণ ভিসা (টুরিস্ট ভিসা): ভ্রমণ ভিসার খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়।
- স্টাডি ভিসা (ছাত্র ভিসা): এ ধরনের ভিসার জন্য আলাদা নিয়ম থাকে।
কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে যদি আত্মীয় বা পরিচিত কেউ কুয়েতে থাকে, তারা ভিসার স্পন্সর হলে খরচ কিছুটা কমে আসতে পারে। দালালদের মাধ্যমে গেলে সাধারণত আরও ১-২ লক্ষ টাকা বেশি খরচ হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কিছু নথিপত্র জমা দিতে হয়, যেমন:
- ৬ মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- করোনা টিকা সনদ
- কুয়েতের কাজের অফার লেটার
বয়সের সীমাবদ্ধতা
কাজের ভিসার জন্য বয়স সীমা নির্ধারণ করা আছে, যা ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে টুরিস্ট ভিসার জন্য কোনো বয়সের বাধ্যবাধকতা নেই।
কুয়েতে কাজের সুযোগ এবং বেতন
কুয়েতে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা বেশি। যেমন: ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভার, নির্মাণ শ্রমিক, হোটেল বা রেস্তোরাঁ কর্মী ইত্যাদি। নতুন কর্মীদের মাসিক বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হতে পারে, তবে অভিজ্ঞতা বাড়লে বেতন ৭০-৮০ হাজার টাকাও হতে পারে।
ভিসার জন্য আবেদন
কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে সরকারি এজেন্সি বা কুয়েত দূতাবাসে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে, বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইট থেকেও আবেদন করা যায়।
কুয়েত দূতাবাসের ঠিকানা
ঠিকানা: হাউস নং ১৬, রোড নং ৪, বারিধারা, ঢাকা-১২১২
ফোন নম্বর: (+880) 2 882-2700 to 3
ইমেইল: kuwait_embd@yahoo.com
এভাবে, কুয়েত ভিসার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।