বাংলাদেশ থেকে বিদেশ গমনের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন দেশে কাজ, শিক্ষালাভ কিংবা পর্যটনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন। বর্তমানে প্রায় ১.৫ কোটি প্রবাসী বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তবে বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ নয় এবং এটি পরিকল্পনা ও সঠিক পদক্ষেপের উপর নির্ভর করে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা, কোন কোন দেশে সরকারি উদ্যোগে যাওয়া সম্ভব এবং এই প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো এই নিবন্ধে বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।
সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব
সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া বেছে নেওয়া সব দিক থেকে নিরাপদ এবং আর্থিকভাবে তুলনামূলক সাশ্রয়ী। অনেক মানুষ সহজ পথের খোঁজে অবৈধ উপায়ে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করেন, যা প্রায়ই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
এ কারণে বৈধ ও সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়াই সর্বোত্তম পন্থা।
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তবে এর পরিধি নির্দিষ্ট কিছু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। নিচে বিভিন্ন অঞ্চলের দেশগুলোর তালিকা দেওয়া হলো যেখানে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে যাওয়া সম্ভব।
১. মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ
মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের প্রবাসী কর্মীদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। সরকারিভাবে নিম্নলিখিত দেশগুলোতে যাওয়া যায়:
- সৌদি আরব
- মালয়েশিয়া
- কাতার
- ওমান
- সিঙ্গাপুর
- সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাইসহ)
- কুয়েত
- বাহরাইন
- জর্ডান
২. ইউরোপের দেশসমূহ
ইউরোপের অনেক দেশেও বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কাজের বা শিক্ষার জন্য যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
- ইতালি
- জার্মানি
- ফিনল্যান্ড
- ফ্রান্স
- রোমানিয়া
- পোল্যান্ড
- আয়ারল্যান্ড
- পর্তুগাল
- হাঙ্গেরি
- নেদারল্যান্ড
- যুক্তরাজ্য
- স্পেন
- মাল্টা
- সুইজারল্যান্ড
- লাটভিয়া
৩. এশিয়ার অন্যান্য দেশ
মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও, এশিয়ার অনেক দেশে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারিভাবে কর্মী নেওয়ার জন্য বেশ পরিচিত।
সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করা আবশ্যক। বাংলাদেশে এর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সংস্থা হলো বোয়েসেল (BOESL)।
বোয়েসেলের মাধ্যমে বিদেশ গমনের সুবিধাসমূহ
- কম খরচে ভিসা প্রক্রিয়া: বোয়েসেলের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া সরাসরি এবং মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সম্পন্ন হয়।
- বিশ্বস্ততা ও নিরাপত্তা: বোয়েসেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয় যে প্রবাসীদের কর্মপরিবেশ ও বেতন সঠিকভাবে নির্ধারিত।
- প্রতারণার সম্ভাবনা কম: কোনো ফ্রড এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
শেষ কথা
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ সীমিত হলেও যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে এটি সম্ভব। কাজের ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা—যেকোনো মাধ্যমেই বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য ও নির্দেশনা অনুসরণ করুন।