সুইজারল্যান্ডের মুদ্রার নাম সুইস ফ্র্যাঙ্ক, যা বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩০ টাকার সমান। সুইজারল্যান্ড ইউরোপের একটি দেশ হলেও এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বাৎসরিক প্রায় ৫১২.১ বিলিয়ন সুইস ফ্র্যাঙ্ক।
আপনি যদি বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করে থাকেন এবং টাকার মান সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এখানে আমরা সুইস ফ্র্যাঙ্কের বর্তমান রেট, বাংলাদেশি টাকার সাথে এর বিনিময় হার এবং অন্যান্য তথ্য বিস্তারিতভাবে জানাবো।
অনেকে কাজ বা পড়াশোনার জন্য সুইজারল্যান্ডে যান। যেহেতু সে দেশে খরচ তুলনামূলক বেশি, তাই অনেকেই সুইজারল্যান্ডের মুদ্রার মান সম্পর্কে জানতে চান।
সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত?
সুইজারল্যান্ডের মানুষের মাথাপিছু আয় ৬৭,৮২৩ সুইস ফ্র্যাঙ্ক, যা দেশটির অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে। বাংলাদেশের কিছু মানুষ বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন, এবং অনেকে পড়াশোনার জন্যও সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছেন। সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের প্রায় ১৩০ টাকার সমান, যা দেশটির উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়ের দিকে নির্দেশ করে।
সুইজারল্যান্ডের টাকার রেট
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্র্যাঙ্কের মূল্য প্রায় ১২৯ টাকা ২২ পয়সা। কিছুদিন আগে এটি ১২২ টাকার আশেপাশে ছিল, তবে সম্প্রতি বেড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছেছে। মুদ্রার মান প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই প্রতিদিনের আপডেট জানতে সচেতন থাকা জরুরি।
সুইস ফ্র্যাঙ্কের নাম ও ব্যবহার
সুইজারল্যান্ডের সরকারি মুদ্রা হলো সুইস ফ্র্যাঙ্ক, যদিও কিছু জায়গায় ইউরোও ব্যবহৃত হয়। তবে দেশের সর্বত্র সুইস ফ্র্যাঙ্কই মূল মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এক সুইস ফ্র্যাঙ্কের বিনিময়ে প্রায় ১৩০ বাংলাদেশি টাকা পাওয়া যায়।
সুইজারল্যান্ডের ১০০, ৫০০, এবং ১০০০ ফ্র্যাঙ্কের মূল্য
- সুইজারল্যান্ডের ১০০ ফ্র্যাঙ্কের মূল্য প্রায় ১৩,০০০ টাকা।
- ৫০০ ফ্র্যাঙ্কের মূল্য প্রায় ৬৫,০০০ টাকা।
- ১০০০ ফ্র্যাঙ্কের মূল্য প্রায় ১,৩০,০০০ টাকা।
সুইজারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় হার
২০২৪ সালের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সুইস ফ্র্যাঙ্কের বিনিময় হার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২০ টাকা ২৯ পয়সা।
উপসংহার
আপনি যদি সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা বা কাজের জন্য যেতে চান, তাহলে সুইস ফ্র্যাঙ্কের মান এবং প্রতিদিনের টাকার বিনিময় হার সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রার মান বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি, তাই দেশের বাইরে অর্থ লেনদেন করার সময় বৈধ পথে লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে।